Currently set to Index
Currently set to Follow
Academic Book

নার্সিং ভর্তি গাইড ও ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন Pdf download

বইয়ের নাম: Neuron BSc Nursing Admission Guide
লেখকের নাম: এইচ আল-হাসিব, মোঃ সালাহউদ্দিন, ডাঃ মোঃ তানভির ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম লেখকবৃন্দ
প্রকাশনী: নিউরন পাবলিকেশন্স
সংস্করণ: ২০২০ সাল
মোট পেজ সংখ্যা: 655 পৃৃৃষ্ঠা

Neuron Bsc Nursing admission Guide Book PDF free Download link:

Click here to Download


বিএসসি নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন pdf download

সাথেই থাকুন। পোস্ট আপডেট করা হবে।

বাবানের গুল
★★★★★★

বাবান আমাদের প্রায় পাশের বাড়ির ছেলে বলা চলতেই পারে। দুই বাড়ির মাঝখানে ছোট একফালি মাঠ।নামেই মাঠ, আসলে সেটা একটা ছোট খাটালের মতোই, রাজ্যের গরু সেখানে বাঁধা সেই সকাল থেকেই, তাদের হাম্বা হাম্বা ডাকে কান ঝালাপালা।

আসলে একটু দূরেই বাপি গয়লার বাড়ি। ওর বাড়িতে যথেষ্ট জায়গা নেই, গরুগুলোকে যেখানে সেখানে বেঁধে রাখে। আমাদের বাড়ির পাশের জায়গাটা বাপি ব্যবহার করছে বেশ অনেকদিন। তবে শর্তসাপেক্ষে। পাড়ার কারোকে জল মেশানো দুধ খাওয়ানো যাবে না। এই শর্ত বাপি হাসি মুখে মেনে নিয়েছে। আমরা যে দুধটা খাই, তেমন দুধ ভূভারতের কোনো লোক খায় কিনা আমার গভীর সন্দেহ আছে। যেমন তার হালকা হলদে রঙ, তেমন তার স্বাদ। ওই দুধের এক বাটি পায়েস খেলে প্রাণ ভরে যায়। আর পাশের পাড়ার লোকজন দুধ ভেবে যেটা খায়, সেটা স্রেফ খাঁটি জল ছাড়া আর কিছু নয়।

বাপি গয়লা, রঙ মিশমিশে কালো। পাথরে খোদাই যেন। সবসময় খালি গা। লুঙ্গি আধভাঁজ করে পরা। গরুগুলি পেচ্ছাপ পায়খানা করলে ,লুঙ্গির প্রান্তদেশ বিপদসীমা অতিক্রম করি করি করে। তবে বাপি খুব সাবধানী ছেলে। বেশী বয়স নয়। খুব জোর তিরিশ। কম বয়সেই পিতৃমাতৃহীন। মামাবাড়ীতে মানুষ। মামা ছিলেন দিগ্বিজয়ী অঘোর গয়লা, গরুগুলো তার কথায় ওঠবস করতো।

নার্সিং এর বিগত সালের প্রশ্ন:

মামার মৃত্যর পর বাপি এখন হাল ধরেছে। প্রচুর গরু কিনে ফেলেছে। রমরমা ব্যবসা। বাড়ীও করেছে পেল্লায়। কিন্তু নিজে সবসময় খালি গা,অর্ধলুঙ্গি। বাপি এখনও বিয়ে করে নি। পাড়ার কেউ কেউ চাপাচাপি করেছেন বিয়েটা করে ফেলতে। বিয়ের কথা শুনলেই বাপি এমন একটা চোখে তাকায়, যেন বিবাহিত মানুষকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। বাপির পাশের বাড়িতে থাকে আমারই বন্ধু পার্থ। সে একদিন বেশ হাসতে হাসতে বললো..”বাপি আর বিয়ে করবে কী? ওর তো বিয়ে গরুর সাথে হয়েই গেছে..”। এ কথার কোনো উত্তর হয় না, দাঁত বের করে হাসা ছাড়া, সুতরাং আমিও তাই করলাম।

বাবানের সাথে আমার প্রায় রোজই দেখা হয়, আর দেখা মাত্রই বাবান একটা শানিত হাসি হাসে। আমার খুব পছন্দ এই শানিত হাসি। দিনকে দিন বাবানের চেহারাটাও শানিত হয়ে উঠছে। ভারী চশমাটা নেওয়ার পর থেকেই তার ব্যক্তিত্ব যেন হাজার গুণ বেড়ে গিয়েছে।

সেদিন বাড়ী থেকে বেরোচ্ছি,বাবান দেখি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে। আমায় দেখেই হাসলো। শানিত হাসি। আমি একটু থেমে কি একটা বলতে যাচ্ছি, বাপি লুঙ্গি গোটাতে গোটাতে সামনে দিয়ে হেঁটে গেলো। বাপিকে দেখেই বাবান একটা চোখের ইঙ্গিত করলো। বুঝতে পারলাম না। বাপি চলে গেলে ফিসফিস করে জানতে চাইলাম..”কিরে!বাবান! কি ব্যাপার?” বাবান আরো ফিসফিস করে বললো..”খবর শুনেছো? বাপিদার তো বিয়ে!!”

খবর শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম। ..”বলিস কী? কার সাথে?” বাবান আমার কানের কাছে মুখ এনে বলে উঠলো..”মিলিদির সাথে..”। কথাটা বলেই বাবান হাঁটা মারলো।

মিলি আমাদের পাড়ার মেয়ে। যৌবনোৎসাহিত চেহারা। ইতিহাসে এম.এ। বাপ কাজ করে হাসপাতালে। মা নেই। ছাত্রী ভালো, মুখশ্রী মধুর। বহু যুবকের স্বপ্ন।

কথাটা শুনেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। কিন্তু একটু হিংসে হিংসে ভাব হলো, অস্বীকার করবো না, বাপির ভাগ্যে মিলি! পয়সায় এই জগতে কি না হয়!

এইসময় দেখি বাপি ফিরছে। হাতের দড়িতে তিনটে গরু বাঁধা। তিনটে গরুই গোবরে মাখামাখি। বাপিরও সারা গায়ে গোবর। মাথাতেও। আমায় দেখেই একগাল হেসে বলে উঠলো..” কি আর করি দাদা! এমন মারপিট করে! যাই চান করিয়ে নিয়ে আসি..”।

আমি বাপির কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বললাম..”তা, মিলির সাথে বিয়েটা কবে??হুঁ হুঁ সব জানি..”।

মিলির নাম শুনেই বাপি এমন একটা খাবি খেলো, আমি যা বোঝার বুঝে গেলাম।

আবার!!!!

সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির যোগ্যতা:


সতীদাহের আড়ালে রমণী হত্যা
গৌতম সোম
21/11/2020

সুখের নিঃশ্বাসে আনন্দ উল্লাসে
সার্বিক মঙ্গলের আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা
পরিপূর্ণ জীবনের গুরুগম্ভীর সভ্যতা,
সুখের নীড়ে রূপকথার অচিনপুরে
পরিস্থিতির ঘেরাটোপে বাস্তবায়িত
রমণী হত্যার কাব্যকথা ,
চৈতন্যহারা সদাচারে স্বার্থান্ধ ধর্ম-দর্শনে
অশ্রুঝড়া প্রাপ্তির কিংবদন্তী গভীরতা,
পাণ্ডিত্য বিমোহিত ব্রহ্মজ্ঞানে আচ্ছাদিত
পুরুষোত্তম নরপশুর নারী-খুনে সততা,
পুষ্পিত সত্তার অলংকৃত শোভায়
কাঙ্খিত স্বর্গলাভের তাৎক্ষণিক দীপজ্যোতিকায়
সজ্জিত অপরাধের এ যে অবক্ষয়ী আহ্বান, চন্দনহারা কল্যাণতত্ত্বে মনুষত্বহারা বিজ্ঞানতত্ত্বে
আদর্শের নেশায় এ যেন এক
প্রীতিময় অবলা নিঃশেষণ,
কর্তব্যের সাধনায় মৃত্যুর আরাধনায়
কাকডাকা ভোরে শঙ্খধ্বনি উলুধ্বনির মাঝে
চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রা,
পবিত্রতার চক্রব্যূহে শুদ্ধতার নিষ্ঠুর অপঘাতে
গঙ্গাজলে শরীর পেলো এক পুণ্যতার নিষ্পাপ মাত্রা, বাদ্যিযন্ত্রের তালে তালে
সাজানো চিতায় আগুন জ্বেলে
ব্রহ্মজ্ঞানে দীক্ষিত জনেরা করে
তাঁতস্বরে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ,
অবক্ষয়ের দুর্গন্ধে নীতিবোধের নির্মম পরিহাসে
মুকুটধারী পুরুষতন্ত্রের অরুচিকর তর্জন-গর্জনে
শ্রেষ্ঠত্ব পায় খাঁচাবন্দী সতীর নির্বাক আত্মসমর্পণ ll

আর কোনো নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার বই লাগলে অবশ্যই জানাবেন। Pdf দেওয়ার চেষ্টা করব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!