ডিপিএড গাইড সিসটেক Pdf Download
সুপ্রিয় পাঠক প্রিয় বন্ধুরা, ডিপিএড গাইড সিসটেক pdf ডাউনলোড করতে বড় এই পোস্ট.
book | সিসটেক ডিপিএড সহায়িকা (৫ খন্ড একত্রে) |
Editor | সিসটেক পাবলিকেশন্স) |
Publisher | সিসটেক পাবলিকেশন্স |
Edition | 1st Published, 2021 |
Number of Pages | 2064 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষা (ভিপিএড) সহায়িকা শিশুর চেনার জগৎ মাতৃভাষার ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠে। কারণ, শিশু যখন প্রথম শব্দটি উচ্চারণের চেষ্টা করে তখন তা পরিবারের সদস্যদের সাহায্যেই সম্ভব হয়। যেমন, শিশু যখন ম-ম-ম ধবনিটি উচ্চারণের গরচে্টা চালায়, তখন মা মনে করেন শিশুটি মা বলার চেষ্টা করছে। তখন তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন এবং শিশুটিকে আদর করেন। এতে শিশুটি উৎসাহবোধ করে ।. এভাবে তাকে পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম বা সম্পর্কবাচক শব্দ শেখাতে সবাই উৎসাহিত হন। তখন শিশুটি ভাঙা ভাঙা শব্দ বলতে শেখে। পরিবারের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যেসব শব্দ বিনিময় করে শিশু তা-ই অনুসরণ করে ! পরিবারের সদস্যরা যখন পানিকে পানি বলে চিহিত করে, তখন শিশুটিও বুঝতে পারে তার “মাম’ বন্তুটির নাম আসলে “পানি’। কিংবা জানালার পাশে দাড়ানো প্রাণীটির নাম কাক। অর্থাৎ জগৎ ও জীবনের সবকিছুর সাথে তার সম্পর্ক স্থাপিত হয় মাতৃভাষার মাধ্যমে । মাতৃভাষার ভেতর দিয়ে অর্জিত এই পারিবারিক অভিজ্ঞতাকে সম্বল করেই সে একসময় সমাজের বৃহন্তর পরিসরে গমন করে। শিশু যে সমাজে মেশে সে সমাজের ভাষা ঘদি তার মাতৃভাষা হয়ে থাকে, তাহলে শিশুর সামাজিক বিকাশ অত্যন্ত সহজ হয়। কেননা মাতৃভাষাতে যত সহজে শিশু তার ভাষাদক্ষতা অর্জন করতে পারে, বিদেশি ভাষাতে তা কখনো সম্ভবপর হয় না। বিদেশি ভাবা আয়ন্ত করতে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাঘন্ত হয়। মাতৃভাষা হলো গকৃতিজাত। এজন্য একজন শিশু তার পরিবার থেকে অতি সহজেই ভা অনুকরণের মাধ্যমে রপ্ করে থাকে। তাই মাতৃভাষা শিশুর ভাষা দক্ষতা বিকাশে খুবই গুরুত্ৃপূর্ণ। গন ॥ ৩ ॥ মাতৃভাষা কাকে বলে? মাতৃভাষাকে “আদি ও অকৃত্রিম ভাব বিনিময়ের ভাষা’ বলা হয় কেন? ভি মাতৃভাষা : সাধারণভাবে বলা যায়, মায়ের মুখের ভাষাই মাতৃভাষা। প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষা হলো শিশুর পরিপার্থে যোগাযোগের সাধারণ ভাষা । অর্থাৎ শিশু জনোই থে ভাষার সাথে পরিচিত হয়, সে ভাষাই তার মাতৃভাষা ।
এজন্য মাতৃভাষাকে প্রথম ভাষা বলা হয়। পরিবার থেকে অনুকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে শিশু যে ভাষা রপ্ত করে সে ভাষাকেই মাতৃভাষা বলে। মাতৃভাষাকে “আদি ও অকৃত্রিম ভাব বিনিময়ের ভাষা” বলার কারণ : মাতৃভাষা মানুষের সহজাত বিকাশের ভাষা । সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্া প্রকাশের একান্ত নিজের ভাষা । এ ভাষা শুদ্ধ করে বলতে পরিশ্রম করতে হয় না। শিশুরা অনুকরণ ও অনুসরণের মাধ্যমে অতি সহজে মাতৃভাষা আয়ত্ত করতে পারে । মাতৃভাষা আদি ও অকৃত্রিম ভারুরিনিয়য়ের ভাষা, ব্যক্তি মনের একান্ত উপলব্ধি ও অনুভূতির ভাষা। এ ভাষার মধ্যে নেই কোনো কৃত্রিমতা, জড়তা, জটিলতা ও আড়ুষ্টতা,/পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে অতি সহজেই শিশু এ ভাষা আয়ন্ত করে বলেই মাতৃভাষা আদি ও অকৃত্রিম । প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ভাষা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করুন্॥
ভাষা হলো মানুষের যোগাযোগের একমাত্র বাহুন’। খনানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করে বিভিন্নভাবে । আর এই মনের ভাৰ প্রকাশের জন্য মানুষ ইশারা-ইঙ্গিত, ধ্বনি, বিভিন্ন সংকেত ও চিত্রকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। তাই ভাষার সং্ঞায় বলা যায়, মনুষ্যজাতি যেসব ধ্বনি বা. ধ্বনিসমষ্টির সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশ করে তাকে ভাষা বলে । ভাষা হলো যোগাযোগের মাধ্যম। ভাষা সম্পর্কে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি দ্বারা নিষ্পন্ন কোনো বিশেষ জনসমাজে ব্যবহৃত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত তথা বাক প্রযুক্ত শব্দসমণ্টিকে ভাষা বলে ।” ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভাষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, “মনুষ্যজাতি যেসব ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টির সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশ করে তাকে ভাষা বলা হয়ে থাকে ।” ভাষার বৈশিষ্ট্য : নিয়ে ভাষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো-_ ভাষা হবে মনোভাব প্রকাশক, অর্থাৎ পরস্পর ভাব-বিনিময়ের একটি মাধ্যম। . ভা বাগ্যনতরের সাহায্যে ধ্বনি সহযোগে উচ্চারিত হয়। ধ্বনি বা ধ্বনিসম্টির অর্থ থাকতে হয়। বিশেষ জনসমাজে ব্যবহৃত হতে হয় । অর্থবোধক ধ্বনি দিয়ে তৈরি শব্দ বাক্যে ব্যবহৃত হয়। ভাষা ভাব বিনিময়ের মাধ্যম । অঞ্চলভেদে ভাষার পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। ৪৪০৪৮৬ প্রশ্ন ১ ॥ মাতৃভাষা বলতে কী বোঝেন? ভি মাতৃভাষা হলো মানুষের সহজাত বিকাশের ভাষা। সাধারণভাবে বলা যায়, মায়ের মুখের ভাষাই হলো মাতৃভাষা। প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষা হলো শিশুর পরিপার্থ্ে যোগাযোগের সাধারণ ভাষা অর্থাৎ শিশু জন্মেই যে ভাষার সাথে পরিচিত হয়,-সে ভাষাই তার মাতৃভাষা । এজন্য মাতৃভাষাকে প্রথম ভাষা বলা হয়। মোটকথা, দেশ-কাল-পাত্রভেদে শিশু ‘যে দেশেই জনগ্রহণ করুক, সে যার তন্তাবধানে লালিত-পালিত হবে তার মুখের ভাষাটিই হলো তার মাতৃভাষা । বাঙালির মাতৃভাষা হলো বাংলা। বিশ্বের প্রায় চব্বিশ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে ।
DPED Guide Systech pdf –