চেঙ্গিস খান – Chengis Khan Bangla Pdf Download
বইয়ের নাম : চেঙ্গিস খান
লেখক : হ্যারল্ড ল্যাম্ব
অনুবাদক : যায়নুদ্দিন সানী।
পৃষ্ঠা সংখ্যা :২০৩
মলাট মূল্য :৩২৫ টাকা।
ক্রয়মূল্য : ২৫০ টাকা।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৮/১০।
বই রিভিউ/ আলোচনা :
আজকে থেকে প্রায় ৮ শত বছর আগে একজন মঙ্গোল প্রায় অর্ধেক পৃথিবী দখল করে ফেলেছিলেন। তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন চেঙ্গিস খান।কিন্তু এটি তার আসল নাম না এটি হলো তার উপাধি, যার অর্থ সবচেয়ে মহান শাসক বা সব মানুষের সম্রাট।তার আসল নাম তিমুজিন, চীনা ভাষায় যার অর্থ উৎকৃষ্ট লোহা।তার জন্ম গোবি মরূভূমিতে।
তিমুজিনের জন্মের সময় তার বাবা সেখানে ছিলেন না,তিনি গিয়েছিলেন অন্য এক গোত্রকে আক্রমণ করতে যার প্রধানের নাম ছিলো তিমুজিন।ফিরে এসে তার শত্রুর নাম পুত্রকে দিলেন।তিমুজিনের মা হৌলুন ছিলেন অপূর্ব সুন্দরী।তাই তার বাবা তার মাকে বিয়ের দিন এক উপকাতির কাছ থেকে তুলে নিয়ে আসেন। তীক্ষ্ণবুদ্ধির হৌলুনও পরিস্থিতি বুঝে আর আপত্তি করল না। কিন্তু সেই উপজাতি ১৮ বছর পর ঠিকই তাদের প্রতিশোধ নেই তিমুজিনের স্ত্রী বৌরতাইকে অপহরণ করার মাধ্যমে।
তিমুজিন সবার চোখে পড়ত তার শারীরিক ক্ষমতা এবং ভালো পরিকল্পনা করার দক্ষতার জন্য।তার শিশু বয়সের উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা হলো সে তার এক সৎ ভাইকে হত্যা করে কারণ সে তার কাছ থেকে মাছ চুরি করেছিল।এসব উপজাতি বালকদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো মূল্য ছিলো না,প্রতিশোধ নেওয়াটা ছিলো বাধ্যবাধকতা।
এখানে তিমুজিনের ৪ সন্তান সম্পর্কে জানা যায় – জুখি, ছাতাগাই,ওগোতাই, তুলি।মেঝ ছেলে ওগোতাইকেই তিমুজিন তার পরের উওরাধিকারক নির্বাচন করেন। বড় ছেলে জুখি তার বেঁচে থাকাবস্থায় মারা যান।
তিমুজিন তার জয়যাত্রা শুরু করেন ৫৬ বছর বয়সে।তিনি এতদিন তার রাজত্ব এশিয়াতেই সীমাবদ্ধ রেখছিলেন।কিন্তু খারেসমের শাহ তার ব্যবসায়িক কাফেলার উপর গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ এনে তাদেরকে হত্যা করেন।ফলে তিমুজিনও তার ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতিশোধ নিতে আনুমানিক ২,৩০,০০০ সেনা নিয়ে বের হয়ে পড়েন। পরে অবশ্য এই শাহই মঙ্গোলদের একের পর এক আক্রমণের শিকার হয়ে তিনি নিজেই বলছিলেন,” পৃথিবীর কী কোনো জায়গা নেই যেখানে মঙ্গোলদের এই আক্রমণ থেকে আমি নিরাপদ থাকব ?”
চেঙ্গিস খানের কবর নিয়ে এখনে অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে।তিমুজিন মারা গিয়েছিলেন তার শত্রু সুংদের এলাকাতে।
মঙ্গোলরা তাদের কী হারিয়েছে তা শত্রুদের বুঝতে না দেয়ার জন্য গোবি মরৃূভূমিতে পৌছানোর আগ পর্যন্ত তার লাশ বহনলারী সৈনিকরা পথে যাদের সাথেই দেখা হয়েছিল তাদেরকেই হত্যা করেছিল।