ব্যালেন্সিং স্ক্রু কাজী মাহবুব Pdf – Balancing screw bangla pdf download Review
বই: ব্যালেন্সিং স্ক্রু কাজী মাহবুব Pdf free download (balancing screw bangla book)
- বইঃ ব্যালেন্সিং স্ক্রু
- লেখকঃ কাজী মাহবুব
- সম্পাদকঃ সাঈদ আবরার
- প্রকাশনীঃ হাসানাহ পাবলিকেশন
- প্রকাশঃ প্রথম, জানুয়ারী ২০২১
- পৃষ্ঠাঃ ১৪১
- মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা
সারা পৃথিবী জুড়েই যখন ইসলামোফোবিয়া ছড়িয়ে পড়েছে তখন ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস টিকিয়ে রাখতে, কালিমাবাহী পতাকাকে সোজা রাখতে পাশাপাশি নাস্তিকদের বিবেচনাহীন প্রশ্নের দাঁতভাঙা জবাব দিতে মুসলিম উম্মাহকে একসাথে লড়ে যেতে হবে। পশ্চিমা মিডিয়াগুলো যখন ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে অপপ্রচার চালায় তখন মুসলিম জাতির উচিত সমষ্টিগতভাবে তাদের মোকাবেলা করা। অন্যান্য দেশের মতো এখন শতকরা ৯০% মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশেও ইসলামোফোবিয়া ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। মূলত, তথাকথিত স্যেকুলার জনগোষ্ঠী, পশ্চিমা কৃষ্টিকালচার এবং নাস্তিকদের শয়তানী মস্তিষ্কপ্রসূত বিভিন্ন প্রশ্ন যা বিজ্ঞান এবং ধর্মের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেয়, এমন কিছু কূটনৈতিক পরিকল্পনার ফাঁদে পড়ে এদেশের মুসলিম উম্মাহ ইসলাম ও আল-কুরআনকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে অবস্থান করছে। বাংলা ভাষায় নাস্তিক্যবাদ বিরোধী লেখাজোঁকা সম্ভবত আরিফ আজাদ ভাইয়ের হাত ধরেই(আমি যতদূর জানি)। তিনি তার ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ বইয়ের মাধ্যমে নাস্তিক্যবাদের বিপক্ষে চরম জবাব উপস্থাপন করেছেন। বইটির সিকুয়েলও আছে। যাক সে কথা। ব্যালেন্সিং স্ক্রু বইটিও নাস্তিক্যবাদের বিপক্ষে রচিত বই। বইটিতে ইসলাম বিদ্বেষীদের একগুঁয়েমিপূর্ণ প্রশ্নের বিজ্ঞানসম্মত উত্তর দেওয়া হয়েছে। ছোট কলেবরের বইখানাতে দেখানো হয়েছে যে বিজ্ঞান ও আল-কুরআন কখনোই সাংঘর্ষিক নয়। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞানের উদাহরণ ও পবিত্র আল-কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের উদ্ধৃতি টেনে প্রতুত্তর দেওয়া হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমেই প্রমাণ করা হয়েছে যে পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধতম গ্রন্থই হলো আল-কুরআন, যা সমগ্র মানবজাতির জন্যে হেদায়াতের মূল উৎস।
নাস্তিকদের প্রশ্নের জবাবে লেখকের বর্ণনাভঙ্গি ও শব্দের ব্যবহার বেশ সাবলীল। তবে বইয়ে অতিরিক্ত ইংরেজি শব্দের ব্যবহার আমাকে খানিকটা বিব্রত করেছে। আশা করছি পরবর্তী বইগুলোতে এর প্রভাব কমে যাবে ইনশাআল্লাহ। তথ্যের নির্ভূলতা এবং গল্পে গল্পে ইসলামবিদ্বেষীরা কীভাবে মুসলিম জাতির উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করে তাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তা পাঠককে মুগ্ধ করবে বলেই আমি আশাবাদী। বইয়ের প্রথম গল্পটিই আপনাকে উপলব্ধি করাবে যে, কীভাবে স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যে ভয়ংকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
“তর্ক যদি করা হয় একে অপরকে আক্রমণ করার জন্যে, তাহলে তাতে কোনো উপকার নেই। কিন্তু তর্কের উদ্দেশ্য যদি সত্য উদঘাটন হয়, তাহলে মীমাংসায় পৌঁছা সম্ভব।
♦রেটিংঃ ৮.৫/১০