জোর্তিবিদ্যার খোশখবর ইয়াকভ পেরেলম্যান Pdf: Doc Download
জোর্তিবিদ্যার খোশখবর ইয়াকভ পেরেলম্যান Pdf: Doc direct Download link
আরো পড়ুন:-
“সাইকো গল্প”
গল্প: রক্তের প্রান্ত
রাত ১২:৩০,
আমার ভিতর কেমন একটা অদ্ভুত অশান্তি অনুভব হচ্ছে। সেই সন্ধ্যা থেকেই এই অশান্তিটা আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। এমন কিছু করতে ইচ্ছে করছে যা অন্য কেউ করতেই চায় না। সেই সন্ধ্যা থেকেই কাউকে খুন করতে ইচ্ছে করছে। খুব কষ্ট দিয়ে কাউকে খুন করলে, সে কতটা আর্তনাদ করে, বাচতে কতটা চেষ্টা করে তা নিজ চোখে দেখতে ইচ্ছে করছে। কিছুদিন আগে এমন অশান্তি অনুভব হওয়ায়, বাড়ির বিড়ালটাকে মেরে রক্ত খেয়েছিলাম।কিন্তু এবার আমার মানুষের রক্তের স্বাদ কেমন হয়! তা নিজ মুখে টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে।
উফফ! আর থাকতে পারছি না। যে করেই হোক, এই অদ্ভুত অশান্তি থেকে আমাকে মুক্তি পেতেই হবে। তাই একটা কালো শার্ট পড়ে বেরিয়ে পরলাম রাস্তায় কোনো শিকারের উদ্দেশ্যে।
হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম হাইওয়ে রাস্তার পাশে। এখানে কাউকে না কাউকে পেয়ে যাবো।যার মাধ্যমে এই অশান্তি থেকে মুক্তি পাবো।তাই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে শুরু করলাম শিকারের জন্য।
.
.
প্রায় আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছি। কাউকেই পাচ্ছি না। আমার ভিতরের হিংস্র স্বত্তাটা যেন আরো হিংস্র হয়ে উঠছি। হঠাৎ পিছন থেকে একটা মেয়েলি কন্ঠে বলে উঠে, “কি রে মা** খাবি নাকি? খাইলে বল রেট কম!”
পিছন ঘুরে দেখি, কপালে একটা লাল টিপ আর ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক দিয়ে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটাকে দেখে বুঝলাম সে কিছু টাকা পেলেই, নিজেকে আমার কাছে সোপে দিবে। মেয়েটার মুখে মায়া আছে। হয়তো পরিস্থিতি তাকে এই রাস্তায় নিয়ে এসেছে। কিন্তু এখন আমাকে বাঁচতে হবে। আমার অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে হবে। তাই মেয়েটাকে বললাম..
-” হুম খাবো। যত চান ততই দিবো কিন্তু শর্ত হলো, আমি যেখানে নিয়ে যাবো সেখানে যেতে হবে!”
মেয়েটা আমার কথা শুনে কি যেনো ভাবলো। তারপর মাথা নাড়িয়ে বুঝালো, সে রাজি। তার উত্তর পেয়ে আমি শয়তানি একটা হাসি দিলাম। আর মেয়েটাকে আমার পিছু পিছু আসতে বললাম। মেয়েটাও আমার পিছু হাঁটতে শুরু করে।
আমি মেয়েটাকে নিয়ে হাইওয়ে রাস্তা থেকে একটু দূরে একটা বাইপাস রাস্তা দিয়ে, একটা গার্মেন্টস ফেক্টেরীর পিছনের নিয়ে এলাম। জায়গায় শুনশান নীরব। রাত ১০টার পরেই এই রাস্তা দিয়ে যে কেউ আসা যাওয়া করে না, তা এই নীরবতাই বলে দিচ্ছে। আর কাছাকাছি কোনো মানুষের অস্তিত্ব নেই। যে কারনে এই জায়গাটা আমার জন্য একদম পার্ফেক্ট।
.
.
আমি কিছু বলার আগেই মেয়েটা নিজে থেকেই তার উড়না বিছিয়ে মাটিয়ে শুয়ে পড়ে। আমি মেয়েটার পাশে দাঁড়িয়ে আশ পাশে নজর বুলিয়ে দেখলাম। কিন্তু মেয়েটাকে খুন করার জন্য ভালো কিছু পেলাম না। ধ্যাৎ, বাড়ি থেকে একটা ছুড়ি নিয়ে আসা দরকার ছিলো। মেয়েটার পাশে তাকিয়ে দেখলাম একটা ইট পেয়ে গেলাম। আমার মুখে একটা বীভৎস হাসি ফুটে উঠলো। যাক এটা দিয়েই আমার কাজ হয়ে যাবে।
ইটটা হাতে নিয়ে মেয়েটার পাশে এসে হাঁটুর উপর ভর দিয়ে বসলাম। আমার হাতে ইট দেখে মেয়েটা অদ্ভুত ভাবে আমার দিকে তাকালো। আমি মেয়েটি কিছু বুঝে উঠার আগেই ইটটা দিয়ে খুব জোরে তার ঠোঁট আর থুত্নির উপর আঘাত করি। সাথে সাথে মেয়েটার উপরের দাঁত গুলো মাড়ি থেকে পরে যায়।আর মেয়েটা ব্যথায় কুঁকিয়ে উঠে। তার ঠোঁট আর মুখ থেকে গল গল করে তাজা রক্ত বের হতে থাকে। মেয়েটা ব্যথায় চিৎকার আর ছটফট শুরু করে। মেয়েটার আর্তচিৎকার আর ছটফট দেখে আমার যেন খুব ভালো লাগছে। এতোটা ভালো যে বলে বুঝানো সম্ভব না।
ইটটা দিয়ে মেয়েটার নাকের উপর সজোরে আবার আঘাত করি। সাথে সাথে নাক ফেঁটে রক্ত পড়া শুরু হয়। আগের থেকেও এখন বেশি ছটফট করতে শুরু করে মেয়েটা। মেয়েটা যত ছটফট করছে আমার ততই ভালো লাগছে। তারপর ইটটা দিয়ে মেয়েটার পুরো মুখটা থেতলে দেই। মুখটা থেতলে দেওয়ার পর মেয়েটারও ছটফট কমে যায়।
এখন মেয়েটার মুখের দিকে তাকাতে ভয় লাগছে। রক্তে মেয়েটার মুখটা একটা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।অবশ্য এই অবস্থা দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। তবে মেয়েটা এখন বাঁচার জন্য ছটফট করছে না, এটা দেখে আমার মোটেও ভালো লাগছে না। তাই ঐ ইট টা দিয়ে মেয়েটার বুকের উপর সজোরে আট থেকে দশ বার আঘাত করি। এখন মেয়েটা আর নিশ্বাস নিচ্ছে না। মেয়েটার মুখ থেকে আঙুলের ডগা দিয়ে একটু রক্ত নিয়ে আমার জিব এ লাগাই। নোততা লাগছে, স্বাদটা দারুণ। তাই আঙুলে আরেকটু রক্ত নিয়ে মুখে দেই।
সেই সন্ধা থেকে যে একটা অশান্তি লাগছিলো তা কেটে গিয়ে এখন খুব ভালো লাগছে। আজ মনে হয় আমার ঘুমটাই মজার হবে।মেয়েটার লাশ ওখানেই ফেলে আমি ইটটা হাতে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসলাম।
.
.
সকাল বেলায় সূর্যের আলো আমার মুখে এসে পড়ায় ঘুম ভাঙে। খুব শান্তির একটা ঘুম দিয়েছি। বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতেই আম্মু আমাকে দেখে অবাক হয়ে বলে..
-“কিরে! আজ এতো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে কিভাবে উঠলি?”
আম্মুর প্রশ্ন শুনে আমি এক গাল হাসি দিয়ে বললাম..
-” ঘুম ভেঙে গেলো তাই। খেতে দাও।”
বলে আমি খাবার টেবিলে বসে যাই। আম্মু আমাকে নাস্তা দিতে শুরু করে। আব্বু একটা খবরের কাগজ হাতে নিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে..
-” একটা মানুষ কিভাবে পারে আরেকটা মানুষকে এমন বীভৎস ভাবে খুন করতে। ইস, কিভাবে মেরেছে মেয়েটাকে। মুখের দিকে তাকালেও ভয় লাগে।”
আব্বুর কথা শুনে কিছুক্ষণ আব্বুর দিকে তাকিয়ে থাকলাম। তারপর আবার খাওয়ায় মন দিলাম। কে কাকে কিভাবে মারলো সেটা দেখে আমি কি করবো! আমি তো প্রচুর শান্তি অনুভব করছি। আমার প্রচুর ভালো লাগছে।