কমিউনিকেশন হ্যাকস Pdf download
Communication Hacks by Ayman Sadiq and Sadman Sadik – Bangla Motivational book
বইয়ের নাম: কমিউনিকেশন হ্যাকস
লেখকের নাম: আয়মান সাদিক ও সাদমান সাদিক
মোট পাতাঃ ১৩৪ পেজ
ফাইল ফরম্যাট: Pdf (পিডিএফ)
file সাইজ: 72 মেগাবাইট
বই ক্যাটাগরি: মোটিভেশনাল বুক
কমিউনিকেশন হ্যাকস বই রিভিউ:
communication এর মানে যোগাযোগ স্থাপন করা, লাইফে বেচে থাকতে খাদ্যের প্রয়োজনীয়তার মত প্রয়োজন যোগাযোগের। এইজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল চাই।
ধরেন, আপনার পেটের ক্ষুদা লেগেছে,তাই বলে খাদ্যটা যদি কারো কাছে চেয়ে নিতে না পারেন, তবে তো আপনাকে না খেয়েই মরতে হবে, তাই না!? ঠিক, তেমনি বর্তমানে আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার নানা মাধ্যম গুলো না জনলেও নানা সমস্যা রয়েছে। কমিউনিকেশন!!! আমরা কি তার সঠিক ব্যবহার জানি? কি ভাবে একটি মানুষের সাথে ভাল ভাবে কথা বলতে হয়, কি ভাবে Digital Communication এর মাধ্যম গুলো কে সঠিক ভাবে ইউজ করতে হয়, কি ভাবে messenger এ অপরিচিত কাউকে knock করতে হয়, কিভাবে একটি mail সাজিয়ে লিখতে হয়? এভাবে করে এমন অনেক কিছুই আমাদের জানার বাইরে। সঠিক ভাবে communication করার জন্য কি কি করতে হবে এমন অনেক সুন্দর সুন্দর নানা idea নিয়ে এ communication hacks বইটি সাজানো।
আমার ভাল লাগা কিছু আইডিয়া-
কাউকে থ্যাংকস দেয়ার সময় তাকে কেন ধন্যবাদ দিচ্ছেন তা তুলে ধরা।
আর, কাউকে sorry বলার সময় মন থেকে সরি বলা।
কাউকে কোন কিছু উপহার দেয়ার সময় তার উপহারের সাথে স্টিকি নোট দিয়ে তার সাথে কাটানো কোন এক ভাল সময়ের কথা লিখে দিন, না হয় তার সাথে পরিচিত হয়ে আপনি অনেক সুখি অনুভব করেন লিখুন।
কথা বলার চেয়ে অন্য জনের কথা মন দিয়ে ভাল করে শুনুন।
কাউকে সমালোচনা করতে হলে সবার সামনে না করে তাকে একা একা বলুন।
দেখা যায় অনেক সময় আমরা অপরিচিত কোনো জায়গায় কারো সাথে যেমন- বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যাই। কিন্তু তাকে খুজে পাই না। এক্ষেত্রে আপনি আপনার location তার সাথে messenger এ share করুন, messenger এ লোকেশন share করার option আছে।
কমিউনিকেশন হ্যাকস – আয়মান সাদিক ও সাদমান সাদিক
বইটি মূলত কমিউনিকেশন এর সকল খুটিনাটি বিষয় নিয়ে লিখা। বইটি লিখতে গিয়ে লেখকদ্বয় অনেক স্টাডি করেছেন এটা বলা বাহুল্য। অসাধারণ এই বই পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন আমরা প্রতিদিন কি পরিমান মিসকমিউনিকেশন করি। এই অনবদ্য বইয়ের আমার ভালো লাগা কিছু অংশ শেয়ার করছি।
১. প্রশংসা আর নিন্দার কমিউনিকেশনঃ আমরা মানুষকে অন্যের সামনে যতটা মজার সাথে অপদস্ত করি, ততটা আনন্দের সাথে প্রশংসা করি না। (page – ২৯)
২. Wiify কমিউনিকেশনঃ What’s in it for you. অর্থাৎ আমার কথায় আপনার লাভটা কোথায় সেটা আমাকে আগে থেকেই জানতে হবে। ‘আপনি নিজের কথা বাদ দিয়ে অন্যের কথা চিন্তা করতে পারলে কমিউনিকেশনে বহুদূর এগিয়ে যাবেন’। (page – ৪৩)
৩. ম্যাজিক মিথ্যা জেনেও কেন মজা লাগেঃ এখানে একটি হ্যাকের কথা বলা আছে, মানুষ নিজের কষ্টের কথা সবার সাথে শেয়ার করতে চায়, সবাইকে বলতে চায়। মানুষ চায় অন্য লোকজন তার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করুক। কিন্তু সেই আমরা যেই ভুল করি তা হল – আমরা চলে যাই সমাধান দিতে। লেখক বলেছেন – ‘মানুষ অনেক সময় সমাধান জেনেও সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চায়। কারন, সে সমাধান নয় শ্রোতা চায়।
৪. মাঝে মাঝে কথা শোনার ক্ষেত্রে অবাক হওয়ার ভান ধরলে কিন্তু মন্দ হয় না।
৫. সংখ্যার কমিউনিকেশনঃ একটা সংখ্যা কথা একটু ঘুরিয়ে বলার মাধ্যমেও কমিউনিকেশন করা যায়। যেমন: প্রোডাক্ট বিক্রির ক্ষেত্রে আপনি যদি বলেন এই পণ্যটি ৫% ফ্যাট যুক্ত ক্রেতার পণ্যের প্রতি নেগেটিভ ধারনা তৈরি হতে পারে। আবার একই কথা ঘুরিয়ে বললে, এই পণ্যটি ৯৫% ফ্যাট ফ্রি। তখন এটি একটি পজিটিভ ইম্পেক্ট তৈরি করে।
৬. বডি ল্যাংগুয়েজঃ বক্তব্য দেবার ক্ষেত্রে কী বলছেন তার চাইতেও কীভাবে বলছেন সেটা বেশি জরুরি।
আমরা কথা শুনি কেবল তর্ক করার জন্যে। জানা বা বোঝা আমাদের কথা শোনার উদ্দেশ্যে না। কিন্তু আমাদের কথা শুনতে হবে মূলত জানার জন্য, বোঝার জন্য।
বই রিভিউঃ কমিউনিকেশন হ্যাকস
✅ শুরুতেই বলে রাখি আয়মান সাদিক ও সাদমান সাদিকের এ বইটি আয়মান সাদিকের অন্যান্য বই নেভার স্টপ লার্নিং, ভাল্লাগে না, স্টুডেন্ট হ্যাকস এ বইগুলো যেরকম রস-কস এবং গল্প করে লিখা হয়েছিল। কমিউনিকেশন হ্যাকস এ বইটিতে সেরকম রস-কস এবং গল্প করে লিখা হয়নি। তাই অনেকে বইটি পড়তে পড়তে বোরিংও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু একটা কথা, যারা আসলেই তাদের কমিউনিকেশন আরো বেটার করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এটি অসাধারণ একটি বই হতে পারে। তাই যারাই পড়বেন ধৈর্য সহকারে পড়বেন।
✅ পুরো বইটি জুড়েই রয়েছে কমিউনিকেশনের অনেকগুলো হ্যাকস! নিচে এ বইটি থেকে আমার ভালো লাগা কয়েকটি হ্যাকস তুলে ধরলামঃ-
১/ ব্যক্তিগত প্রশ্ন করার কৌশল : ধরেন, আপনি একটি অফিসের অফিস পলিটিক্স হয় কিনা তা জানতে চাচ্ছেন। এখন প্রশ্ন করতে পারেন আপনি কি অফিস পলিটিক্স করেন? অনেকে হয়তোবা নিজের ভয়ে অফিস পলিটিক্স করলেও বলবে না। কিন্তু আপনি যদি এভাবে প্রশ্ন করেন, আপনার কি মনে হয় ৭৫% এর বেশি মানুষ অফিস পলিটিক্স করে এ কোম্পানিতে?
২/ একেবারে পুরো মেসেজটি পাঠান : আপনি অনলাইনে বন্ধুদের সাথে যেমন ইচ্ছা তেমন আড্ডা দিতে পারেন। কিন্তু একই কাজ যদি আপনি কর্পোরেট কাজে কারো সাথে করেন তবে নিশ্চয়ই আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণা জন্মাবে। তাই অনলাইনে মেসেজ পাঠানোর সময় একটি একটি লাইন করে না পাঠিয়ে, পুরো মেসেজটি একেবারে পাঠাবেন। এতে অপর ব্যক্তিটির আপনার মেসেজটি পড়তে সুবিধা হবে। এবং আপনাকে ব্যক্তিটি আনপ্রফেশনাল ভাববে না!
৩/ ভাবিকে সালাম : মানুষের স্বভাব হচ্ছে তেলা মাথায় তেল দেওয়া। কোন সিনিয়র মানুষ আসলে তাকে মাখন দিতে দিতে সবার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু, তারই কাছে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হয়তোবা তার পাশেই আছে। হয়তোবা স্যারের আশেপাশে সবাই ভিড় করছে। কিন্তু, আপনি ঠিক উল্টোটি করবেন। ম্যাডামকে গিয়ে আপ্যায়ন করবেন। ম্যাডাম কিন্তু অবশ্যই মনে রাখবে তাকে কে বেশি আথিতেয়তা করেছে। পরে যখন সেটি স্যারকে বলবে আপনি কতটা অমায়িক ছিলেন! তখন আবার আপনি স্যারের সুনজরে পরে গেলেন।
৪/ জুনিয়রদের সামনে কমিউনিকেশন : কমিউনিকেশনের একদম বেসিক দুইটি ব্যাপার হচ্ছে, কাউকে প্রশংসা করলে সবার সামনে করুন আর কারো সমালোচনা করলে ওয়ান টু ওয়ান বা ব্যক্তিগতভাবে বলুন। তার মানে ব্যক্তিগত সমালোচনাগুলো মানুষের সামনে করবেন না। বিশেষ করে জুনিয়রদের সামনে করবেন না। এতে তার সম্মান এবং অথরিটিতে বেশ আঘাত লাগে।
উপরের এসব ছাড়াও রয়েছে bhalobasar communication, ডেঞ্জারাস কমিউনিকেশন, ভাললাগা মানুষের জন্য প্রশংসা ও খারাফদের নিন্দার কমিউনিকেশন। , ঠাট্টা কমিউনিকেশন, নাম্বার কালেক্ট করার করার কমিউনিকেশন। communication শেখার সেরা source সহ এরকম আরো অনেক Communication hacks শিখতে পারবেন এ বইটি পড়ে। যাই হোক, বইটি কেমন লেগেছে তা আপনি কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ
বই টি download হচ্ছে না
Your site is beautiful to look at and the articles are also very useful. Thank you very much.