গবেষণায় হাতেখড়ি – রাগিব হাসান pdf download
বইয়ের নামঃ গভেষণার হাতেখড়ি
লেখকের নামঃ রাগিব হাসান
১ম প্রকাশ: ২০১৯
ফাইল ফরম্যাট: 44MB
গবেষণায় হাতেখড়ি – রাগিব হাসান বই রিভিউ:
এই সময়টায় অনেকেই থিসিস পেপার নিয়ে কাজ করছেন। অনেকে আবার ব্যস্ত গবেষণা বিষয়ক কাজে।
দারুণ একটা পেপার তৈরিতে আপনাকে সহায়তা করবে রাগিব হাসান স্যারের অসাধারণ একটি বই ‘গবেষণায় হাতেখড়ি’
কিংবা যারা এখনও অনার্স করছেন, কলেজে পড়ছেন আপনারাও এ বিষয়ে পড়ে আগে থেকেই দারুণ প্রস্তুতি নিয়ে ফেলতে পারেন
• বইটির গুরুত্ব নিয়ে তাই কিছু কথা তুলে ধরা হলো:
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু কীভাবে আমরা তা হলাম? মানবসভ্যতার ইতিহাসের অগ্রগতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে উৎকর্ষ- আর তা সম্ভব হয়েছে গবেষকদের জন্য। গবেষণার মাধ্যমে অজানাকে জানা, নতুন উদ্ভাবন, রােগ-শােক-জরাকে জয় করা হয়েছে সম্ভব। কিন্তু গবেষণা বলতে আসলে কী বােঝায়? কীভাবে একজন নবীন গবেষক গবেষণার, জ্ঞান-বিজ্ঞানের রাজ্যে পা দেবেন? কীভাবে গুছিয়ে কাজ করে সমস্যার সমাধান করবেন, কীভাবে গবেষণাপত্র লিখবেন ও কোথায় প্রকাশ করবেন, এমনকি কীভাবে একটা নতুন আইডিয়াকে গুছিয়ে লিখবেন, চিন্তা ও যাচাই করবেন— এসব নিয়ে নবীন গবেষকেরা অনেক সময়ই সমস্যায় পড়েন।
আমি পেশায় ও নেশায় একজন কম্পিউটারবিজ্ঞানী। গবেষণাই আমার ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু গবেষণা কীভাবে করতে হয়, তা আমাকে শিখতে হয়েছে। আমার শিক্ষাগুরুদের হাতে স্নাতক এবং পরে পিএইচডি করার সময়ে অনেক কিছু ধাপে ধাপে হাতেকলমে শিখে, তবেই গবেষণার পদ্ধতি বুঝতে পেরেছি। গবেষণার কৌশল সম্পর্কে জানার পরে আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এটা শেখা খুব কঠিন নয়— কেবল দরকার দিকনির্দেশনার। বাংলা ভাষায় গবেষণা করার পদ্ধতি নিয়ে খুব বেশি আলােচনা করা হয়নি, এ-সংক্রান্ত সবকিছুই ইংরেজিতে। তাই আমি চেয়েছি, গবেষণা করার নানা ধাপ, নানা দিককে মাতৃভাষা বাংলায় সবার কাছে তুলে ধরতে।
রিভিউ ২:
গবেষণায় হাতেখড়ি – রাগিব হাসান
গবেষণা করতে চান, কিন্তু শুরুটা কিভাবে করবেন বুঝতে পারছেন না অথবা অনেক কাটখোট্টা বিষয় মনে হচ্ছে? আপনার উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে রাগিব হাসান স্যারের গবেষণায় হাতেখড়ি বইটা আপনাকে সাহায্য করতে পারবে, আশা করা যায়।
বইটা শুরু করতে হলে আপনাকে আগে থেকেই জেনে-বুঝে আসতে হবে এমন কিছু নাই। বইটা শুরু হয়েছে গবেষণা কি, কতরকম, কেন করবেন এই প্রশ্নগুলো নিয়ে।গবেষণা শুরু করতে হলে কোন টুলসগুলা জানা থাকলে কি সুবিধা হবে সেই বিষয়েরও বিশদ আলোচনা পাওয়া যাবে বইটিতে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে গবেষণা, গবেষণার ধাপগুলা, বিষয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার পর আসে লিটারেচার পর্ব। এই পর্বটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। প্রথম প্রথম রিসার্চ পেপার হাতে নেওয়ার পর অনেক সামারি করতেই লম্বা সময় কেটে যায়। এক্ষেত্রে রাগিব হাসান স্যার রিসার্চ পেপার পড়ার সুন্দর একটা টেকনিক দিয়েছেন। রিসার্চ আইডিয়া বাছায়, লেখা, ফলাফল উপস্থাপন, ফল প্রকাশের পদ্ধতি, রিসার্চপেপার লেখা, জার্নালে প্রকাশের খুঁটিনাটি উঠে এসেছে বইটিতে। এই যেমন আপনি রিসার্চ করতে গিয়ে ওই বিষয়ের সবকিছু আপনার নখদর্পনে থাকলেও পাঠকের বোধগম্য হওয়ার জন্য লেখার মানের কথাটা আপনার মাথায় রাখতে হবে। গবেষণা কিভাবে শুরু করবেন এর পাশাপাশি রয়েছে গবেষণার পরিবেশের সাথে পরিচয়। যেমনঃ গবেষণার পরিমাপ কিভাবে করা হয়? ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর, এইচ-ইন্ডেক্স, আই-ইন্ডেক্স সহ বেশকিছু ফ্যাক্টরের পরিচয় সবসময় বইয়ের পরিবেশ ঠাণ্ডা রেখেছে। গবেষণায় খরচ কোথায় পাবেন, কিভাবে গবেষণার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠবেন, রিসার্চ প্রপোজাল কিভাবে লিখবেনসহ বেশকিছু উত্তরের মধ্যে দিয়ে বইটি শেষ হয়েছে।
সবশেষে নতুনদের কাজের ট্র্যাক রাখার জন্য একটা দারুণ ছক আছে!
আমার ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৫/৫
বাংলা ভাষায় এই বিষয়ে অন্য কোন বই আমার চোখে পড়েনি। এছাড়া রাগিব হাসান স্যারের লেখার ধরণ সবসময়ই ভালো লাগে।